গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামে মারুফা আক্তার (৪৫) নামের এক গৃহবধূর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মারুফা আক্তার ছিলেন মিজানুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। মিজানুর একই এলাকার একজন ঔষধ ব্যবসায়ী।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শনিবার রাতের দিকে হঠাৎ মারুফার ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পাশের বাসিন্দারা এগিয়ে গিয়ে ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা মারুফার আংশিক পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেন। ঘটনার সময় মারুফার স্বামী মিজানুর রহমান ঘরে উপস্থিত ছিলেন না এবং ঘটনার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মারুফার মেয়ের জামাই মো. মোতালেব জানান, তার শাশুড়ি একসময় বিদেশে থাকতেন। সেই সময়ে তার শ্বশুরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিদেশ থেকে ফিরে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মিজানুর রহমান ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। মোতালেবের দাবি, এ ঘটনায় মিজানুর রহমান জড়িত থাকতে পারেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘরের ভেতরে মারুফার শরীরে আগুন দেওয়া হয় এবং মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে মিজানুর রহমান পালিয়ে যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ