মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই ‘ভাণ্ডারী’র নির্বাচনী যুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে একজন মহাজোট থেকে ও অপরজন সুন্নি মহাজোটের টিকিটে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। পূর্ব উত্তরসূরি হিসেবে দুজনেই মাইজভাণ্ডারের বংশধর। একজন সম্মিলিত জোট ও সুন্নি মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী অপরজন মহাজোটের প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। আগামী নির্বাচনে তাদের ভোটযুদ্ধে মাইজভাণ্ডারী ভক্তসহ সাধারণ ভোটাররা দ্বিধাবিভক্তও হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী     মহাজোটের প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাছাড়া নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিলও করেছিল। সম্মিলিত জোট ও সুন্নি মহাজোটের সমন্বয়ক সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘সম্মিলিত জোটের অংশীদার হিসেবে নির্বাচনে নেমেছি। ইতিমধ্যে উপজেলার সমমনা ইসলামী দলগুলোর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’ অন্যদিকে মহাজোটের প্রার্থী ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের বিরাট একটি অংশ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল। এখানে বিএনপির কোনো শক্ত প্রার্থীও নেই। তরিকত ফেডারেশন রয়েছে নামে মাত্র। তিনি মহাজোটের প্রার্থী হলেও তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নেই ভালো সম্পর্ক। তাই এবারের নির্বাচনে রাজনীতির মেরুকরণে কী হবে সেটিই এখন প্রশ্ন সবার। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর