শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন কাল

ফল নির্ধারণে বড় ফ্যাক্টর নীরব ভোটার

শেষ প্রচারণায় উত্তাপ ছড়ালেন নানক-বাবলু

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

রাত পোহালেই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটযুদ্ধ। প্রায় দুই মাসের প্রচারণা থেমেছে গতকাল সকাল ৮টায়। ভোটের মাঠে শেষ উত্তাপ ছড়িয়ে গেছেন নির্বাচনের মূল প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। নিজ নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণার সমাপ্তি টেনেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু। প্রচারযুদ্ধের পর এবার চলছে ভোটের হিসাব-নিকাষ। শেষ সময়ে এসে নির্বাচনে ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ‘নীরব ভোটার’রা। দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে ভোটারসংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার। নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। প্রতীক বরাদ্দের পর গতকাল পর্যন্ত দুই মাস আট দিন প্রার্থীরা এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। লকডাউনের মধ্যে প্রচারণায় নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই সময়েও নানা কৌশলে তারা চালিয়ে গেছেন প্রচারণা। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারেননি প্রার্থীরা। সূত্র জানায়, আসনটির অন্তত ৬০ ভাগ ভোটার এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীকেই প্রকাশ্যে সমর্থন জানাননি। শেষ পর্যন্ত তারা ভোট দিতে যাবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। ‘মুখবন্ধ’ এসব ভোটার নিয়ে প্রার্থীরাও রয়েছেন মহা টেনশনে। ভোট দিতে গেলে তারা কাকে দেবেন- এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ‘নীরব ভোটার’রা ভোটবিপ্লব ঘটাতে পারেন এমন আশঙ্কায় রয়েছেন প্রার্থীরা।

 তবে রাজনীতি সচেতন মহলের ধারণা, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ঘিরে নীরব থাকা এসব ভোটার ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ারই আশঙ্কা বেশি।

এদিকে দলীয়ভাবে বিএনপি অংশ না নিলেও সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই উত্তাপের কমতি ছিল না। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করে। হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় দুই ডজন নেতা ব্যাপক প্রচারণা চালান। দ্বিতীয় দফায় বুধবার সিলেট আসেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। গতকাল সকাল পর্যন্ত তিনি নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন।

অন্যদিকে শুরুতে স্থানীয় নেতাদের ওপর ভর করে প্রচারণা চালিয়ে যান জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক। কিন্তু শেষমেশ তার পক্ষে মাঠে নামেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু। ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি সিলেট এসে গতকাল সকাল পর্যন্ত টানা চার দিন প্রচারণায় অংশ নেন। এরশাদের দ্বিতীয় বাড়ি সিলেট উল্লেখ করে সাধারণ ভোটারদের কাছে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। বিভিন্ন স্থানে তার আবেগঘন বক্তব্য ভোটারদের মনে নাড়া দেয়।

এদিকে দল থেকে বহিষ্কার হওয়ায় কোনো নেতার সঙ্গে না থাকলেও থেমে থাকেননি শফি আহমেদ চৌধুরী। বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চালিয়ে গেছেন প্রচারণা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর