চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা যুবলীগের তিন নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেছেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই এখনো পর্যন্ত চুপ করে আছি। যুবলীগের তিন নেতার ওপর জামায়াত-শিবিরের এজেন্টরা পরিকল্পিতভাবে ব্রাশফায়ার চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াত পটিয়ায় সর্বহারা লোকদের ওপর তান্ডব চালাচ্ছে। তিনি বলেন, যুবলীগ নেতাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেবে পটিয়ার মানুষ। বৃহস্পতিবার পটিয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা ডি এম জমির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ইকবাল ও আরিফের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতাকালে বদিউল আলম হত্যা চেষ্টাকারী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আবদুল মতিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামশুদ্দিন আহমেদ।

 সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাসান মুরাদ, সাবেক ছাত্রনেতা ও শিশু সংগঠক মো. সাহাব উদ্দিন, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল ইমরান, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দিন আহমেদ তার ভাষণে বলেন, আওয়ামী রাজনীতির খুঁটি উপজেলা যুবলীগের তিন নেতার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে হুইপ সামশুলের অনুসারীরা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট হুইপ পরিবার পটিয়ার মানুষকে আজ জিম্মি করে শোষণ করে চলেছে। পটিয়ার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তাদের পটিয়া থেকে তাড়ানো হবে।

সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল হক মানিকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন কৃষকলীগের পটিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আবু ছৈয়দ, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য দিদারুল হক জসিম, সাবেক ছাত্রনেতা ফজল আহম্মদ দৌলতী, নাছির উদ্দিন, নুরুল আবছার খোকন, শ্রমিকলীগ নেতা সাইফুদ্দিন ভোলা, যুবনেতা আমান উল্লাহ্ আমিরি, হাসান শরীফ, আনোয়ার হোসেন, উজ্জল ঘোষ, তৌহিদুল ইসলাম জুয়েল, আউয়াল, মোহাম্মদ হোসেন, মো. হারুন, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, ছাত্রনেতা জয়নাল আবেদীন ফরহাদ, আবদুল কাদের, ছোটন আর্চায্য, বাদশা মিয়া, মো. সাইফু, সাব্বির আহমেদ, সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল করিম, মো. রুবেল, রাফি প্রমুখ।