সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষি উন্নয়নে চুক্তি করল এফবিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষিপণ্য বাণিজ্য উন্নয়ন চুক্তি করল বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। দেশটির এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের ইউএসডিএ ফান্ডেড ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রজেক্টের সঙ্গে কৃষিপণ্য আমদানি-রপ্তানি সহযোগিতাবিষয়ক এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও ইউএসডিএর পক্ষে মিশেল জে পার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী- বাংলাদেশের পণ্য প্রক্রিয়া সহজীকরণ, আনুষ্ঠানিকতা এবং প্রাক-ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াকরণে সমন্বয় বৃদ্ধি, বাণিজ্য তথ্য ও বিজ্ঞপ্তির স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, পরীক্ষাগার এবং টেস্টিং পদ্ধতি উন্নত করা, পচনশীল পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজ অবকাঠামো উন্নত করা। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এই চুক্তির ফলে বিদেশে বাংলাদেশি কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। কৃষিপণ্য আমদানি-রপ্তানির সিস্টেমে সহযোগিতা করবে। আমাদের মধ্যকার সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধান করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্যে রপ্তানির বাধা খুঁজে বের করতে হবে। হালাল প্রোডাক্ট মার্কেট ধরতে হবে। চাল উৎপাদনে উন্নয়ন করতে হবে। দুগ্ধজাত উন্নয়ন করতে হবে। এসব বিষয়ে ইউএসডিএ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করবে। মিশেল জে পার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গত দুই বছরে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্য সুবিধা চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তার মাধ্যমে কৃষিপণ্যের রপ্তানি, আমদানি এবং ট্রানজিটের প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ সমন্বয় করা।

কেননা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ২০২১ সালের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ মৎস্য ও শাক-সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, কাঁঠাল ও খাসির দুগ্ধজাতীয় উৎপাদনে দ্বিতীয়, খাসির মাংস উৎপাদনে চতুর্থ ও আম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ কৃষিপণ্য রপ্তানিতে পিছিয়ে রয়েছে। কেননা এই সময়ে বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। একই সময়ে ভারত ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, পাকিস্তান ১৯ দশমিক ০১ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৫ দশমিক  ৮৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর