রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বর্ণিল আয়োজনে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল নগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বর্ণিল আয়োজনে পালিত হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল বেলা ৩টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। র‌্যালিতে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিতে ছিল ডিএমপির সুসজ্জিত অশ্বারোহী ও ব্যান্ডদল, ডগ স্কোয়াড, সোয়াত, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা। এরপর রাজধানীর রাজারবাগে ডিএমপির ৪৮ বছরে পদার্পণ উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, কলাকুশলী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা মুখ্য। পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করছে বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু আহ্বান করেছিলেন বাংলাদেশের পুলিশকে জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য। আজ পুলিশ সে জায়গাটাতে এসেছে। জনগণের আস্থার জায়গা, বিশ্বাসের জায়গাটাতে পুলিশ আসছে। পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ডিএমপি তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই ডিএমপির যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজ ডিএমপি ৪৮ বছরে পদার্পণ করেছে। ৫০টি থানাসহ ডিএমপিতে আরও ইউনিট রয়েছে, যারা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।

যখন আমরা দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলাম জঙ্গি উত্থানের কারণে, হোমগ্রোন টেররিস্ট এবং আন্তর্জাতিক টেররিস্টের যোগসাজশে জঙ্গি যে প্রচেষ্টা হয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিএমপিতে সিটিটিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সিটিটিসি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গি দমন করতে পেরেছিল।’

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪-১৫ অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করার দৃশ্য আপনারা দেখেছিলেন। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখেছেন। তখন পুলিশ কাজ করেছে। অনেক পুলিশ সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। প্রতিটা আন্দোলন, প্রতিটা সংকটে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে, বীরত্বের সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেই আজ বাংলাদেশের এই দুর্বার অগ্রগতি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, এর পেছনের শক্তিটা হলো, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছি বলেই এগিয়ে যাচ্ছি। পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আর ঢাকায় ২ কোটি মানুষের বাস। এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা সহজ কথা নয়। কিন্তু ডিএমপি ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে।’

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বর্তমানে ডিএমপির ৫০টি থানায় এখন ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। সম্মানিত নগরবাসীর সঙ্গে ডিএমপির সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাই হবে মূল লক্ষ্য। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আগুনসন্ত্রাস, হোলি আর্টিজানে জঙ্গি আক্রমণ দমনে ডিএমপির ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানের দক্ষতা অর্জনে ডিএমপি ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বর্তমানে ডিএমপির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভবিষ্যতে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালালে জনগণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্বের অন্যতম মেগা সিটি, বৈচিত্র্যময় মহানগরী ঢাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও বিনিয়োগবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে টিম ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি হিসেবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

ডিএমপির অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিনিধি দল : গতকাল ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর