মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে দুজন নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এ মন্তব্য করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ও নারীর স্বাধীন চলাফেরায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল আসকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশ্য শত শত মানুষের সম্মুখে মারধরের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশ দ বিধির ৩২৩ ও ৩২৫ ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় আঘাত করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সমাজে নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা কোন পর্যায়ে এবং কারও কারও দৃষ্টিভঙ্গি কতটা নিষ্ঠুর, এই ঘটনা তার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো জায়গায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হতে দেখা যাচ্ছে নারীকে। দেশের নারী সমাজ একটি অস্থিতিশীল ও ভয়ার্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার সদিচ্ছার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। নারীর স্বাধীনতা, নারীর পছন্দ করার বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার, চলাফেরার অধিকার সবই সাংবিধানিক অধিকার।
এ অধিকারগুলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদে স্বীকৃত। যেখানে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা সর্বোত্তম উপায়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা, সেখানে নারীকে প্রকাশ্য মারধরের ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, নারীর জীবন, স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষা আমাদের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। মুন্সিগঞ্জে নিষ্ঠুর নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতার শিকার নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।