ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কিংবা সহায়ক কমিটির সভায় কোনো পরিচালক ভিন্নমত পোষণ করলে তা আর গোপন রাখা যাবে না। সভায় দেওয়া ‘নোট অব ডিসেন্ট’, ব্যতিক্রমী মতামত, পর্যবেক্ষণ বা সুপারিশ সবই বিস্তারিতভাবে সভার কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে গতকাল নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংক পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে এই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সভায় আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে উৎসাহিত হবেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া আরও গ্রহণযোগ্য হবে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, অনেক ব্যাংকে পরিচালনা পর্ষদ বা কমিটির সভায় পরিচালকদের মতামত, বিশেষ করে মতানৈক্যের বিষয়গুলো সঠিকভাবে কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করা হয় না। এতে পর্ষদ সদস্যদের কার্যকর অংশগ্রহণ ও দায়বদ্ধতা বিঘ্নিত হয়। নতুন নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোর জন্য চারটি মূল দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো-পরিচালনা পর্ষদ সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয় নিয়ে পরিচালকদের মধ্যে আলোচনা, ভিন্নমত থাকলে তা স্পষ্টভাবে কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে; সভায় আলোচিত সব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ যথাযথভাবে নথিভুক্ত করতে হবে; কোনো পরিচালক ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিলে তা বিস্তারিতভাবে কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করতে হবে; সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকলে, তার মতামতও লিপিবদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এসব নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা আরও জোরদার হবে এবং পরিচালকদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আসবে।