কুমিল্লার মুরাদনগরে কড়ইবাড়ি গ্রামে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার পুরুষরা। ফলে এখনো প্রায় পুরুষশূন্য গ্রামটি। এতে এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও ডাকাত আতঙ্কে ভুগছেন নারীরা। তাদের দাবি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর কারণে গ্রামের নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে এলাকাবাসী। গতকাল কড়ইবাড়ি স্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গ্রামে পুরুষশূন্য থাকায় ৫ শতাধিক নারী ও শিশুকে এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে জনরোষের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে এক ছেলে ও এক মেয়েসহ নিহত হন মাদক ব্যবসায়ী রুবি আক্তার। তার এ মৃত্যুর পর রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২৫ নম্বর আসামি শাহ আলম চেয়ারম্যানকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রাম গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রহিমা খাতুন, আমেনা আক্তার ও সায়েরা বানু বলেন, গত এক মাস ধরে নিরপরাধ পুরুষরা গ্রেপ্তারের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও ডাকাত আতঙ্কে রয়েছি আমরা। প্রায় প্রতিরাতেই গ্রামে বহিরাগত লোক এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা যদি আসামি খুঁজতে আসেন তাহলে সরকারি পোশাক পরে আসবেন। সাদা পোশাকের নামে হয়রানি বন্ধ করুন।