তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে গতকাল তেঁতুলিয়ার দরিদ্র মেধাবী নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সেলাই মেশিন পেয়ে খুশি প্রত্যন্ত এ অঞ্চলের নারীরা। তাদের আশা, সেলাই মেশিনে কাজ করেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে।
উত্তরের প্রান্তিক জনপদ তেঁতুলিয়ার আরিফা আরফিন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। তার মা আছে, কিন্তু খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারায় সে। বাবার মৃত্যুর পর তার মা অনেক কষ্ট করে সংসারের খরচের পাশাপাশি আরিফার লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছেন। এবার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে তিন মাস সেলাই মেশিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে। গতকাল বসুন্ধরা শুভসংঘ তার হাতে তুলে দেয় একটি নতুন সেলাই মেশিন। আরিফার আশা, সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ করেই এখন লেখাপড়ার খরচ নিজেই জোগাড় করতে পারবে সে। আরিফা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘সেলাই মেশিন কেনার মতো আমার অবস্থা নেই। ইচ্ছা আছে কিন্তু সাধ্য নেই। আজ বসুন্ধরা শুভসংঘ যে উপহার দিল তা আমার সারা জীবন কাজে লাগবে। আমি ভাবতেও পারিনি আমার একটি সেলাই মেশিন হবে।’ তেঁতুলিয়া
মডেল মসজিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র রায়, রওশনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন রঞ্জু, জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির জাহাঙ্গীর আলম, বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম লিটন।
নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আত্মনির্ভশীল হিসেবে গড়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তেঁতুলিয়ার প্রায় ২০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের আশা, সেলাই মেশিনে কাজ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন তারা। উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন রঞ্জু জানান, বসুন্ধরা শুভসংঘ এর আগেও তেঁতুলিয়ায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ। বসুন্ধরা শুভসংঘের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান।