ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে রাজধানীর রামপুরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিনি পলাতক আসামি। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার। তাঁকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। হাবিবুর ছাড়াও এ মামলার আসামি ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান ও রামপুরা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ মামলায় মোট পাঁচ আসামি। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। ১০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলা আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এ মামলায় তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো গণ অভ্যুত্থানে ১৯ জুলাই রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা যুবক আমির হোসেনকে গুলি করে পুলিশ। গুলি শিশু বাসিত খান মুসার (৭) মাথা ভেদ করে চলে যায়। তার দাদি মায়া ইসলাম মারা যান। একই দিন নাদিম নামে আরও এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।
