দেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এ রোগে আক্রান্ত অর্ধেক মানুষই তা জানে না। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে অবহেলার কারণে বাড়ছে হৃদরোগ, কিডনি, অন্ধত্বসহ নানান রোগের ঝুঁকি। গতকাল ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর বাংলামোটরের বিআইপি কনফারেন্স রুমে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় জানানো হয়, সম্প্রতি অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বাড়াতে সরকারের ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ একটি ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর করেছে। দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবিলায় দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করা জরুরি এবং এজন্য টেকসই অর্থায়ন প্রয়োজন। অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ বিবেচনায় এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয় কর্মশালায়।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সারা দেশে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপারেশনাল প্ল্যান কার্যকর না থাকায় সাময়িক কিছু অসুবিধা হলেও দ্রুত সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন জিএইচএআইয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস) এজিনে এজেকোয়েম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।