রংপুর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠছে। ৬ মাসে কমপক্ষে ২০টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেপ্টেম্বর মাসের ৮ দিনে উদ্ধার হয়েছে ১৪টি অস্ত্র। যে কোনো সময় অবৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হতে পারে, এমনটা আশঙ্কা করছেন রংপুরবাসী। সর্বশেষ গতকাল ভোররাতে রংপুর নগরীতে ১০টি একনলা বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড রাবার কার্তুজ উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। নগরীর দর্শনা শুঁটকির আড়ত সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুঁটকির আড়ত সংলগ্ন সীমানাপ্রাচীর ঘেরা একটি বাগানের ভিতরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা জব্দ করে। এ সময় সেটির মুখ খুলে বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করে এবং পরে তা তাজহাট থানায় হস্তান্তর করে যৌথ বাহিনী। এর আগে গত পহেলা সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এ সময় অস্ত্র উদ্ধারে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এর আগে ১৮ জুলাই রংপুরে তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ব্যাংকের দুই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে একটি বারো বোরের একটি দুইনলা ও দুটি একনলা বন্দুক, তিনটি ভুয়া লাইসেন্স ও ১৫ রাউন্ড গুলি ছিল।
তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ডের কাছ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি রংপুরের গঙ্গাচড়ায় যৌথ অভিযানে কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত দুটি পিস্তলসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার আরাজিনিয়ামত মৌলবীবাজার এলাকায় রংপুর-গঙ্গাচড়া সড়ক সংলগ্ন একটি পাকা কবরস্থান থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তাজহাট থানা এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে উপপুলিশ কমিশনার মারুফ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় তাজহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অস্ত্রগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং কারা সেখানে ফেলে রেখে গেছে, তা উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।