চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশে চায়ের উৎপাদন সাড়ে ৩ কোটি কেজি ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে জুলাইয়ে সর্বোচ্চ চা উৎপাদিত হয়েছে। বর্ষার আগে আগাম বৃষ্টি, বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ, চা বোর্ডের তদারকি বৃদ্ধির কারণে পর্যাপ্ত চা উৎপাদিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সহজ হতে পারে।
চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত দেশের বাগানগুলোতে তিন কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩ লাখ ৯ হাজার কেজি, ফেব্রুয়ারিতে ২৪ হাজার কেজি, মার্চে ১২ লাখ ৮৯ হাজার কেজি, এপ্রিলে ২৩ লাখ ৩১ হাজার কেজি, মে মাসে ৮৬ লাখ ৪৮ হাজার কেজি, জুন মাসে ৯৮ লাখ ২৫ হাজার কেজি ও জুলাই মাসে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
তবে জুলাই মাসের উৎপাদন এখনো পর্যন্ত বছরের ১ মাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন। গত বছর একই মাসে উৎপাদিত হয়েছিল ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার কেজি। অর্থাৎ এ বছরের জুলাইয়ে গত বছরের একই মাসের চেয়ে সাড়ে ২০ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে। এ ছাড়া এই বছরের মে মাসেও গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৪০ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছর চা বাগানগুলোতে জুন-অক্টোবর পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে এবার বর্ষার আগে আগাম বৃষ্টির কারণে মে মাসেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে।
এ ছাড়া মে-জুন মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে জুলাইয়েও উৎপাদন ভালো ছিল। একই সঙ্গে পরবর্তী মাসগুলোতেও উৎপাদন ভালো হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
চা নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল বোকার্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক অঞ্জন দেব বর্মণ এ প্রসঙ্গে বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চায়ের উৎপাদন খুবই কম হয়। সাধারণত জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে চায়ের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়। আর বছরের শেষ দুই মাসে উৎপাদন আবার নিম্নমুখী হয়ে যায়। তবে এবার মে মাসে গত বছরের চেয়ে বাড়তি চা উৎপাদিত হয়েছে। জুন-জুলাই মাসের উৎপাদনও ইতিবাচক। যা বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব রাখবে।