বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কর্মকর্তাদের দূরে কোথাও বদলির ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। কর্মকর্তাদের ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরাসরি দেখা করেও টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিএমডিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি প্রতারক চক্রের কাজ।
চক্রটি ফোন করে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক তরিকুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাসেম ও সচিব নীলুফা সরকারকে ‘সম্মানী’ দেওয়ার নামে টাকা চাচ্ছে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাসেম ও শামসুল হোদার পরিচয় দিয়ে ফোন করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কাউকে টাকা না দেওয়ার জন্য বিএমডিএ একটি চিঠি ইস্যু করেছে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিএমডিএর চারটি সার্কেল, ১৬টি রিজিয়ন ও ১২৫টি জোন কার্যালয় আছে। গ্রামের বাড়ি কাছাকাছি কিংবা পার্শ্ববর্তী জেলায়, এমন কার্যালয়েই থাকেন বেশির ভাগ কর্মকর্তা। এখন রাজশাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের রংপুর অঞ্চলে ও রংপুরের কর্মকর্তাদের রাজশাহী অঞ্চলে বদলির ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ গত মঙ্গলবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল জোন কার্যালয়ে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে ফোন করা হয়। হাবিবুর রহমানের বাড়িও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তাকে রংপুর রিজিয়নের লালমনিরহাটে বদলির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। বদলি ঠেকাতে তার কাছে টাকা চাওয়া হয়।
হাবিবুর রহমানের সঙ্গে এক ব্যক্তির কথোপকথনের ফোনকল রেকর্ড পাওয়া গেছে। এতে শোনা যায়, এক ব্যক্তি নিজেকে পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা পরিচয়ে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি জানান, বিএমডিএর বোর্ড সভায় বদলির জন্য কর্মকর্তাদের একটি তালিকা হয়েছে। সে অনুযায়ী চিঠি ইস্যু হচ্ছে। হাবিবুর রহমান যাতে মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারেন, সে জন্য তিনি ফোন করেছেন।
নির্বাহী পরিচালক তরিকুল আলম বলেন, ‘বদলি, পদোন্নতি ও বদলি বাতিলে কারও কিছু করার নেই। এটা আমার এবং সচিবের কাজ। তাই এসব কাজের জন্য কারও টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। এটা প্রতারকদের কাজ। সবাইকে সতর্ক করে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।’