গত এক বছরে মৃত্যুবরণ করা ২০ সাংবাদিকের স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্মৃতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় প্রয়াত সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
বাবা, স্বামী ও ভাই সম্পর্কে তাঁরা বেদনাবিধুর স্মৃতিচারণ করেন।
সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘তাঁদের স্বপ্ন, আদর্শ, নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা তাঁদের পরম্পরা, তাঁদেরই ধারাবাহিকতা। আমাদের দায়িত্ব এই উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়া।’
হাসান হাফিজ বলেন, ‘আমরা তাঁদের হারিয়েছি, এটা আমাদের একধরনের অঙ্গহানি। আজ খুবই বেদনাদায়ক দিন, কিন্তু আমরা তাঁদের ভুলে যেতে পারি না। কারণ তাঁদের ভুলে যাওয়া মানে নিজেদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। মহান আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করুন এবং তাঁর সান্নিধ্য দান করুন।’
স্মৃতিসভায় অংশ নেন কবি হেলাল হাফিজের ছোট ভাই নেহাল হাফিজ, আলী হাবিবের স্ত্রী নার্গিস হোসনেয়ারা, আবদুল হালিমের কন্যা ডাক্তার হাসরাত জাহান এবং সিরাজুল হকের পুত্র অধ্যাপক তারিক সিরাজী। এ ছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরাও আলোচনায় অংশ নেন।
প্রয়াত সদস্যরা হলেন এন. এম. হারুন, মো. জাকারিয়া পিন্টু, মো. নজরুল ইসলাম, এরশাদ মজুমদার, হেলাল হাফিজ, বিডি মুখার্জী, আমিনুল ইসলাম বেদু, নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান ভট্টাচার্য, খন্দকার রাশিদুল হক নবা, স্বপন দত্ত, আলী হাবিব, শেহাবউদ্দিন আহমেদ নাফা, জয়নুল আবেদীন, সিরাজুল হক, এ এ জাফর ইকবাল, শামীম আহমদ, মো. আবদুল মুকিত, আবদুল হালিম ও আলমগীর মহিউদ্দিন।