বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাংলাদেশেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যে করোনা সতর্কতায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এখনো চালু রয়েছে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি গ্রার্মেন্ট সেক্টর।
তাই কোনো গ্রার্মেন্ট কর্মীর যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে কর্তৃপক্ষ যেন তার বেতনসহ ছুটির ব্যবস্থা এবং পাশাপাশি ওই কর্মী কোয়ারেন্টাইনে আছেন কিনা তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ফ্লোরা এ কথা জানান।
তিনি বলেছেন, গার্মেন্ট কর্মীদের জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট থাকলে তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। যতদিন তারা সুস্থ না হবেন ততদিন তাদেরকে সবেতনে ছুটি দেয়ার জন্য গার্মেন্ট মালিকদের পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, বেতনে ছুটির ব্যবস্থা না করলে গার্মেন্ট শ্রমিক লক্ষণগুলো গোপন করবে। এতে অন্য শ্রমিকের ক্ষতি হবে।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, কোনো কারণে গার্মেন্ট কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে। তাই এ পরামর্শ শুধু গার্মেন্টের জন্যই নয়, অন্যান্য যে সকল প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন, তাদেরকেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন