করোনা আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী নৌরুটে। আগে বিশেষ করে সপ্তাহের শুরু ও শেষ দিনে এই রুটের দুই প্রান্তে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ থাকলেও বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি ছিলো অন্যরকম। বরিশাল-ঢাকা রুটের বিলাস বহুল লঞ্চের কেবিন সোনার হরিনের মতো হলেও উভয়প্রান্ত থেকে প্রতিটি লঞ্চের অন্তত ৩০ ভাগ কেবিন খালি গেছে। ডেক যাত্রীও ছিলো তুলনামূলক কম। এই চিত্র বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে অস্বাভাবিক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল-ঢাকা রুটের বিলাসবহুল এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুনর রশিদ জানান, স্মরণকালে তাদের কোম্পানির কোন লঞ্চ খালি অবস্থায় গন্তব্যে যায়নি। প্রতিটি লঞ্চের অন্তত ৩০ ভাগ কেবিন যাত্রী কমেছে। ডেক যাত্রীও কম। এসবই করোনার প্রভাব বলে তিনি মনে করেন।
একই চিত্র ছিলো বরিশাল নদী বন্দর থেকে স্থানীয় রুটেগুলোতে চলাচলকারী নৌযানসহ বরিশালের বিভিন্ন গনপরিবহনে।
বাকেরগঞ্জের অটোরিক্সা চালক হাবিব হাওলাদার বলেন, করোনার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষজন কমে গেছে। গত বুধবার তিনি একবেলা অটোরিক্সা চালিয়েও তেমন আয় রোজগার করতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন। পেটের তাগিদে গতকালও রাস্তায় নেমেছেন কিন্তু তেমন যাত্রী পাচ্ছেন না।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী করোনা সংক্রামণ এড়াতে জনসাধারণকে পর্যটন কেন্দ্র, দর্শনীয় স্থান, পার্ক, কোচিং, শপিংমার্কেটসহ জনগমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। নিজ কার্যালয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার