মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ৮৫ জন ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬৭ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলায় মোট ১৫২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি করোনা আতঙ্কে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব প্রবাসীদের শনাক্ত করেছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে আলাদা রাখা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনসহ প্রশাসনের লোকজন তাদেরকে কড়া নজরদারিতে রেখেছেন। যেন তারা বাড়ির বাইরে বের হতে না পারেন। প্রবাসীদের থেকে যেন অন্য কোনো ব্যক্তি বা পার্শবর্তী লোকজন সংক্রমিত না হয় সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
তবে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের কোভিট -১৯ কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলোতে এখনও কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ।
এদিকে, বুধবার রাতে গজারিয়া উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় সৌদিআরব ফেরত এক প্রবাসীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অবাদে ঘুরাফেরা করার সময় ২ জন প্রবাসীকে আটক করে ২ জনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে নিজ বাড়িতে ১৪দিন আলাদা থাকার শর্তে।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা কারণে বাহিরে ঘুরাফেরা করা এবং করোনা বিষয়ে সতর্ক করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম