ইউএনও'র হস্তক্ষেপে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় করোনা আক্রান্ত এক চিকিৎসক পরিবার উচ্ছশৃঙ্খল প্রতিবেশীর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় মঙ্গলবার বিকেলে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। করোনায় আক্রান্ত ওই পরিবার হল নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শিল্পী আক্তারের পরিবারে। তিনি স্বপরিবারে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আক্রান্ত ওই পরিবারটিকে কিছু লোকজন বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বাড়িতে ছুড়ে মারে ঢিল। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক ওই এলাকায় গিয়ে উচ্ছশৃঙ্খল লোকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করে বাড়িটিকে লকডাউন করেন।
এরপর মাইকে এলাকাবাসীকে নিজ নিজ ঘরে থাকার অনুরোধ করে করোনা সম্পর্কে ধারনা দেন ইউএনও। এছাড়া আক্রান্ত পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দেন এবং যেকোন প্রয়োজনে তাকে ফোন করার অনুরোধ করেন ইউএনও নাহিদা বারিক।
ডাক্তার শিল্পী আক্তার জানান, তার ছোট ভাই আনিসুর রহমান প্রতিদিন বাসা থেকে তার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে আসত। এতে হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর করোনা টেস্ট করালে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে পরিবারের আরো ১৬ জন সদস্য ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে আক্রান্ত হয়। তাদেরও টেস্ট করা হলে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এতে পরিবারের ১৭ জনকে বাসায় রেখে তিনি (শিল্পি আক্তার) নিজেই চিকিৎসা করছেন।
ইউএনও নাহিদা বারিক জানান, ডাক্তার শিল্পী আক্তার নিজেই তার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করছেন। তাদের বাসায় সাত বছর বয়সের একটি শিশু ছাড়া ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদেরকে ধর্য্য ধরে চিকিৎসা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। উশৃঙ্খল লোকজনদের ধাওয়া করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই এলাকার আশপাশের বাজার দুরত্বে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল