গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত টিকা ‘ব্যানকোভিড’ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রাণীদেহে সফল হয়েছে। তাদের দাবি, প্রাণীদেহে এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে টিকার অ্যানিমেল (প্রাণী) মডেলে নিয়ন্ত্রিত ও পূর্ণাঙ্গ প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লোব বায়োটেক।
সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও ড. কাকন নাগ জানান, বর্তমানে বিশ্বে করোনা আক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই সংক্রমণে ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টটি শতভাগ দায়ী বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদও (বিসিএসআইআর) বাংলাদেশে সংক্রমণের জন্য ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী বলে নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ‘ব্যানকোভিড’ টিকাটি ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ও একমাত্র আবিষ্কৃত টিকা। ইতোমধ্যে অ্যানিমেল মডেল ইঁদুরে নিয়ন্ত্রিত ও পূর্ণাঙ্গ প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্যানকোভিড সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। যার বিস্তারিত ফলাফল বায়ো-আর্কাইভে (biorxiv) প্রি-প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।’
ড. কাকন নাগ আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কন্ট্রাক্ট রিসার্স অর্গানাইজেশনের (সিআরও) সঙ্গে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল তৈরির কাজ করছি। আশা করছি, তারা খুব শিগগিরই বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক ছাড়পত্রের জন্য এই প্রটোকলসহ আবেদন করবেন।
বিএমআসির নৈতিক অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ে তারা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছেও প্রটোকলস ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।’
আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ, ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর