কুষ্টিয়া জেলায় করোনা ভাইরাসের টিকার (ভ্যাকসিন) প্রথম চালান এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। এ সময় কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ভ্যাকসিনগুলো বুঝে নেন। পরে ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভ্যাকসিন সংরক্ষণাগারের ফ্রিজে রাখা হয়। সূত্র জানায়, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির পর কুষ্টিয়া জেলায় টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রথম চালানে ৬ হাজার ভায়াল টিকা এসেছে। প্রতিটি ভায়ালে রয়েছে ১০ এম্পুল টিকা। এ হিসেবে মোট ৬০ হাজার টিকা পাওয়া গেছে প্রথম চালানে। জনপ্রতি দুই ডোজ করে জেলার ৩০ হাজার মানুষকে এ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদেরকেও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, পুলিশ লাইনস হাসপাতালসহ জেলার পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়ার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলায় করোনার টিকা সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, টিকা পাবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে এসব কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কমিটিতে উপদেষ্টা করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি, জেলা হাসপাতালে চারটি বুথ স্থাপন করা হবে।
কুষ্টিয়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৮৫৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৭৩৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৬ জন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল