গত এক মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ১৮৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৬ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুইজন।
এদিকে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরা কোয়ারেন্টাইনে থাকা আরও তিনজনের করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে। গত মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানা যায়।
আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। রিপোর্ট আসার পর তাদের তিনজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত ফেরত ২৬ জন বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ হলেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, নিয়মিত যাত্রী চালচল বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় অনুমোদন নেওয়া যাত্রী পারাপার হচ্ছেন। ভারত থেকে হাইকমিশনারের অনুমোদন নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনা যে সকল যাত্রী এই বন্দর দিয়ে ফিরতে চাচ্ছেন, তাদের আসতে কোন বাধা নেই। গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্যন্ত গত এক মাসে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ১৮৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন'।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তাদেরকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা শহরের ও আখাউড়ার উপজেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা আছে। এখন পর্যন্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পূর্ণ করেছেন, এমন ৫৫৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ভারত থেকে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের করোনার পরীক্ষার জন্য নেওয়া নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮৪টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে পজিটিভ ৩ জন বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা স্থলবন্দর দিয়ে আসা বাংলাদেশি। এই ৩ জনকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ারেন্টাইন থেকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসা যাত্রীদের স্থলবন্দরেই করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানে কেউ বাদ পড়লে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে তাদের করোনার ধরন ভারতীয় কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তা শনাক্ত করতে করোনা পজিটিভ হওয়া নাগরিকদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কোনো ফলাফল আমরা পাইনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন