দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন সাথী বেগম এবং তার স্বামী রুবেল হোসেন। কিন্তু অর্থাভাবে ভালো চিকিৎসা করতে পারছিলেন না।
স্বামী দিনমজুরের কাজ করে আর সাথী বেগম চা-পান বিক্রি করে সংসার চালায়। একপর্যায়ে অসুস্থতার কারণে রুবেল কাজে যেতে পারছিলেন না। সাথীরও দোকানে বসা বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, অভাব অনটনের সংসারে উপার্জনের পথ না থাকায় নিজেদের উপোস তথা ছোট দুটি সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। অন্ধকার নেমে আসে চন্দ্রীমা উদ্যানের (ঢাকা উদ্যান সংলগ্ন) ৫নং রোডে বাস করা পরিবারটির সামনে।
জাকিয়া নামে একজন প্রতিবেশীর কাছে মোহাম্মদপুররে নীলতারা ক্লনিকিরে কথা জানতে পারনে সাথী। কম টাকায় ভাল সেবা পাওয়ার আশায় স্বামীকে নিয়ে তিনি এসএমসি নীলতারা ক্লিনিকে আসনে। মোহাম্মদপুরস্থ ঢাকা উদ্যানের বি ব্লকে হাজী দীল মোহাম্মদ এ্যাভিনিউতে নীলতারা ক্লনিকিটি অবস্থতি। নীচতলায় একটি সুন্দর শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত মডেল র্ফামেসী। এর পাশ কাটিয়ে দোতলায় উঠলেই এই নীলতারা ক্লিনিক। এখানে বসইে কথা হচ্ছিল সাথীর সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন, “প্রথমবার নীলতারায় ঢুকতইে একজন অ্যাপ্রোন পরা আপা এগিয়ে এসে আমার ও আমার স্বামীর সমস্যা জেনে ডাক্তারের কাছে পাঠালেন। এরপর ডাক্তার আপা আমার ও স্বামীর কিছু শারীরিক পরীক্ষা শেষে চিকিৎসা দিলেন। ৭ দিন পর আবার গেলাম। এক মাসের মধ্যে আমরা সর্ম্পূণ সুস্থ হয়ে উঠি।
শুধুমাত্র সাথী বা রুবেল নয়, গত এক বছর ধরে মোহাম্মদপুরের প্রায় ৩ লাখ মানুষের আস্থার নাম এসএমসি নীলতারা ক্লিনিক। আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত এই ক্লিনিকটি সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্যই উন্মুক্ত। এখানে স্বল্প খরচে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিাকৎসা ও পরামর্শ পাওয়া যায়। এখানে কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। প্রাথমিক সেবা দিয়ে হলেও বিশেষায়িত হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।
এই ক্লিনিকে সুলভ মূল্যে সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানী (এসএমসি) এর কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স টিম সার্বক্ষণিক তদারকি করে থাকে। এখানে আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) ছাড়াও ফার্মেসী, ল্যাব এবং পরামর্শ সেবা রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ক্লিনিক সর্বসাধারনের জন্যে উন্মুক্ত থাকে এবং সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফার্মেসীটি খোলা থাকে।
এখানে রয়েছে মেডিসিন, শিশু, গাইনী, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। আধুনিক ল্যাবরেটারির মাধ্যমে অভিজ্ঞ প্যাথলজিষ্টের তত্ত্বাবধায়নে সকল প্রকার টেস্ট এবং আধুনিক মানসম্পন্ন মেশিনে আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ডিজিটাল এক্স-রে করা হয়। এরই মাঝে ক্লিনিকটির সেবা পেয়ে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল