সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জয়ধরকান্দি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ভবন যেন মৃত্যুফাঁদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দির উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিনের চালা ঘরটি ভয়ংকর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেমালিয়া নদী ভাঙনের ফলে কেন্দ্রটি তিন দিকের মাটি সরে ঘরটি একদিকে হেলে পড়েছে। বর্ষার ভাঙনে মাটি সরে গিয়ে ঘরটির নিচের অংশে ভয়ংকর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ঘরটির দেয়াল ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির আধাপাকা ঘরটির দরজা জানালা কিছুই নেই। পশ্চিম ও উত্তর পাশের অংশে মাটি সরে গিয়ে ঘরটি কিছুটা হেলে পড়েছে। ঘরের তিন পাশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। শিশু-কিশোররা এ ভয়ংকর গর্তের ভিতর ঢুকে খেলাধুলা করছে। যে কোনো মুহূর্তে কেন্দ্রটির টিনের চালা ঘরের পাকা দেয়াল ধসে পড়ে শিশুদের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

জয়ধরকান্দি গ্রামের মো. আবদুল কাদির বলেন, আমাদের গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি ঘর দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরটির উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব পাশের ভিটিতে মাটি নেই। অনাদর অবহেলায় ঘরটি পড়ে থেকে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দেখার কেউ নেই। দেয়ালের গোড়ায় মাটি না থাকার কারণে দেয়াল ধসে পড়ে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। যার ফলে আমরা আতঙ্কে আছি। পাকশিমুল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও জয়ধরকান্দি গ্রামের খলিলুর রহমান মাদারী বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরটা দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় আছে।  আমাদের ছেলেমেয়েরা এখানে খেলাধুলা করে। কোন সময় জানি ভেঙে পড়ে আল্লাহ জানেন। আমরা চাই সরকার এটা যেন তাড়াতাড়ি মেরামত করে। পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অচিরেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘরটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করব এবং চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেব। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নোমান মিয়া বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ ঘরটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর