বিয়ের এক মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে কান্নাকাটি করেন যুবক শাকিল খান। এর ঘণ্টাখানেক পর গাইবান্ধা স্টেডিয়াম এলাকায় রেললাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। শাকিল গাইবান্ধা সদরের ভগবানপুর গ্রামের বাচ্চু খানের ছেলে। ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, শুরুতে সালাম জানিয়ে শাকিল গ্রাম ও বাবা মায়ের পরিচয় তুলে ধরেন। এরপর কান্নাকাটি করে এক মাস আগে বিয়ে করার কথা বলেন। বিয়ের পর দাম্পত্য কলহ চলছিল। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর লাইভ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হচ্ছিল শাকিল। এ সময় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসছিল। উপস্থিত লোকজন ট্রেন আসছে ট্রেন আসছে বলে চিৎকার করলেও শাকিল সরে না গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফলে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিনি। শাকিলের বাবা বাচ্চু খান বলেন, এক মাসে আগে প্রতিবেশী শাহিন মিয়ার মেয়ের সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের কারণে শাকিলের স্ত্রী (শারমিন আক্তার) তার বাবা বাড়িতে চলে যায়। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি তাতে রাজি হননি। বরং তারা শাকিলকে জেলে দেওয়াসহ হুমকি ধমকি দেন। এতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শাকিল। রেল পুলিশের গাইবান্ধা ফাঁড়ি ইনচার্জ সেতাফুর রহমান বলেন, রাতেই লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে আনা হয়। গতকাল গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে শাকিলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনো কথা বলতে রাজি হননি।