সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতুর অপেক্ষায় আট গ্রামের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

সেতুর অপেক্ষায় আট গ্রামের মানুষ

রত্নাই নদীর সরেয়ারতল ঘাটে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটে একটি সেতু বদলে দিতে পারে আট গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের ভাগ্য। সদর উপজেলার রত্নাই নদীর সরেয়ারতল নামক ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। বর্ষাকালে দুই তীরের মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা কলাগাছের ভেলা কিংবা নৌকা। অন্য সময় নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। রত্নাই নদীর পূর্ব দিকে কুলাঘাটের শিবের কুটি, দক্ষিণ শিবের কুটি, বনগ্রাম, বোয়ালমারী, মোগলহাটের ভাটিবাড়ি, কোদাল খাতা ও পশ্চিম দিকে কুলাঘাটের ধাইরখাতা এবং লালমনিরহাট পৌরসভার উত্তর সাপটানা অবস্থিত। স্থানীয় সূত্র জানায়, রত্নাই নদীর পূর্ব দিকের গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। আবার নদীর পশ্চিম দিকের অনেকে পূর্ব দিকের স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় যায়। নদীর পশ্চিম দিকের মানুষ চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনে পূর্ব দিকের শিবের কুটি কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে হয়। তাদের নদী পার হতে হয় নৌকা কিংবা সাঁকো দিয়ে। পূর্ব দিকের গ্রামগুলোর রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালসহ রংপুর মেডিকেলে যেতে হয়। রত্নাই নদীর ওপর সেতু না থাকায় সাঁকো পার হয়ে অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো যানবাহন পূর্ব দিকের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না। তাই উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, আমি এক যুগের বেশি সময় ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। লালমনিরহাট সদর-৩ আসনের এমপি রত্নাই নদীর ওপর সরেয়ারতল ঘাটে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ডিও লেটার দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণ করা হয়নি। এলজিইডির পক্ষ থেকে চিঠি চালাচালি আর নদীর সরেয়ারতল ঘাটে বিভিন্ন সময় মাপজোখ হয়। বাস্তবে কী হবে সেটা দেখার বিষয়। লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর কাদের ইসলাম বলেন, সরেয়ারতল ঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। প্রস্তাবিত সেতুর দৈর্ঘ্য ১২৫ মিটার। নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ কোটি টাকা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেতুর কাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর