ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় জিবির নামে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন চালক-শ্রমিকরা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। এ সময় কসবা-কুটি চৌমহনী, কসবা-নয়নপুর সড়কে আড়াই ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কসবার ইউএনও ও পৌরসভার প্রশাসক ছামিউল ইসলাম বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী অটোস্ট্যান্ড ইজারা দেওয়া হয়েছে। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড ব্যতীত অন্য স্ট্যান্ড থেকে জিবির নামে চাঁদা তোলা যাবে না। জিবি বন্ধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কসবা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, দুটি অটোরিকশা স্ট্যান্ড তাদের পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদারা প্রতিটি অটো থেকে দিনে ১৫ টাকা আদায় করেন। গত বছর থেকে অটো শ্রমিকরা এর বিরোধিতা করছেন।
শ্রমিকরা বলছেন, জিবির নামে তারা চাঁদা দেবেন না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে ঘোষণা দিয়ে কসবা-নয়নপুর, কসবা-কুটি চৌমহনী সড়কের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অটোরিকশা রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। জিবির নামে চাঁদা বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কসবার ইউএনও ছামিউল ইসলাম, ওসি আবদুল কাদের, পৌর বিএনপি সভাপতি শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শিবলী নোমানীসহ নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেন।