ইরানের একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, দেশটি একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা আরও বাড়ানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, 'এই যুদ্ধ আমরা শুরু করিনি, কিন্তু এর শেষ কবে হবে, তা আমরাই ঠিক করব।' তিনি আরও দাবি করেন, এই সংঘাত মূলত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ এবং এর পরিণতিতে ইসরায়েলি শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'ইরান নিজের জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই লড়ছে।' একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'ট্রাম্পের উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়া—তিনি কি আমেরিকান জনগণের ট্যাক্সের টাকা নেতানিয়াহুর যুদ্ধ লালসার পেছনে নষ্ট করতে চান?'
এর আগে শুক্রবার রাতে এবং শনিবার ভোরে ইরান থেকে তিন দফা ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (IDF) তথ্যমতে, এসব হামলায় প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। যদিও ইরানি গণমাধ্যম দাবি করেছে, শুক্রবার রাতের প্রথম দফার হামলাতেই শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
শনিবার ইরান জানিয়েছিল, দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েল তাদের ওপর সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এবার ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক খাতকে লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। দেশটির দক্ষিণ পার্স (South Pars) গ্যাসক্ষেত্রে হামলার ফলে সেখানে আগুন ধরে যায়। গ্যাসক্ষেত্রটি ইরানের অন্যতম প্রধান শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/মুসা