চট্টগ্রামে বৃদ্ধ এবং জটিল রোগে আক্রান্তরা রয়েছেন অধিক করোনাঝুঁকিতে। গত দুই দিনে এ জেলায় কভিড-১৯-এ চারজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে মোট ছয়জন মারা যান। সবাই বয়স্ক অথবা জটিল রোগে ভুগছিলেন। জটিল ও কঠিন রোগীরা করোনায় আক্রান্ত হলে তুলনামূলক বেশি ঝুঁকির মুখে পড়েন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে চলতি বছর করোনায় মোট ছয়জন মারা গেছেন। তারা অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত এবং বয়োবৃদ্ধ ছিলেন। তবু এ ভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু প্রতিদিন নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান সিভিল সার্জন।
জানা যায়, এ বছর চট্টগ্রামে প্রথম করোনায় মৃত্যু হয় ১৬ জুন। এদিন মারা যাওয় শফিউল ইসলাম (৭৫) মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি ছিলেন কিডনি রোগী। ২০ জুন মারা যান নগরের বাকলিয়ার বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সি ফজিলাতুন্নেছা। তিনি ছিলেন ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত। পরদিন মৃত্যু হয় দুজনের। এর মধ্যে পটিয়া উজেলার বাসিন্দা ইরশাদের বয়স কম (১৪) হলেও আগে থেকেই সে কিডনি জটিলতায় ভুগছিল। কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ইয়াসমিনও (৪৫) ছিলেন ফুসফুস সংক্রমণ ও যক্ষ্মারোগী। সবশেষ ২২ জুন মারা যান দুজন। এর মধ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুরের বাসিন্দা কাজী আবদুল আউয়ালের বয়স ৮৫ এবং নগরের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া খাতুনের বয়স ৯৫। দুজনই নিউমোনিয়া ও ফুসফুস প্রদাহজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকসাস ডিজিসের (বিআইটিআইডি) মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কিডনি, ক্যানসার, হার্ট, নিউমোনিয়া এ-জাতীয় জটিল-কঠিন রোগে যারা আক্রান্ত তারা করোনা আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি থাকে। জটিল রোগে আক্রান্তদের অতিমাত্রায় সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যদের রাখতে হবে নিরাপদ।’ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে রবিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয় ৭৮ জন।