ব্যাটিং ব্যর্থতায় কলম্বোয় প্রথম দিন পার করে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২২০ রান তুলে। দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার তাইজুল ইসলামের ৩৩ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে ২০ রান ঊর্ধ্ব ব্যক্তিগত স্কোর রয়েছে ৭টি। নেই কোনো হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। নেই কোনো বড় জুটি। পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
সিরিজের প্রথম টেস্ট গলে নাজমুল বাহিনীর সেঞ্চুরি ছিল ৩টি। প্রথম ইনিংসে ২টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে একটি। উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিক করেছিলেন আরেকটি। গলে প্রথম ইনিংসে একটি ডাবল সেঞ্চুরির (২৬৪) জুটি ও একটি দেড় শ রানের (১৫৯) জুটি এবং দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরানের (১০৯) রানের জুটি ছিল।
কলম্বো টেস্টেও বড় স্কোরের টার্গেটে বুধবার (২৫ জুন) টস জিতে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফেরেন এনামুল বিজয় রানের খাতা না খুলেই। এরপর অবশ্য ৩৮ রানের জুটি গড়েন সাদমান ও মুমিনুল। সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল আউট হন ব্যক্তিগত ২১ রানে। একপর্যায়ে ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। গল টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো নাজমুল আউট হন ব্যক্তিগত ৮ রানে। উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে টাইগার অধিনায়ক টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ২১ ধাপ।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন কোণঠাসা, তখন পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে নেন মুশফিক ও লিটন। এটাই দলের উল্লেখযোগ্য জুটি। দুজনে ভালো ব্যাটিং করতে করতে তাড়াহুড়া করেন। ফলে ব্যর্থ হন বড় ইনিংস খেলতে। দুজনে একবার করে জীবনও পান। জীবন পাওয়ার পরের ওভারে উইকেটরক্ষক কুল মেন্ডিসের গ্লাভসবন্দি হন লিটন, ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। মুশফিক আউট হন ৩৫ রানে। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমে ৩১ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটে নাঈম হাসান বেশ সতর্ক ছিলেন। তার ব্যাটিং বেশ ইতিবাচক ছিল। তবে দিনের একেবারে শেষ দিকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। তার আগে ৫১ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন আগের দিনে অপরাজিত থাকা তাইজুল ইসলাম (৯) এবং এবাদত হোসেন (৫)। দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত তিন রান যোগ করতেই ফার্নান্দোর বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন এবাদত। তবে শেষ দিকে লড়াই করতে থাকেন তাইজুল। ৬০ বলে ৩৩ রান করে এই ব্যাটার আউট হলে ২৪৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন সাদমান ইসলাম।
টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ২ ঘণ্টা। এজন্য খেলা হয় ৭১ ওভার। কলম্বো টেস্টে টাইগাররা খেলছে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে। জ্বরের জন্য গলে খেলেননি টাইগার সহ অধিনায়ক। তিনি ফেরায় একাদশের বাইরে থাকতে হচ্ছে জাকের আলি অনিককে। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডের উইকেটে ব্যাটাররা হয়তো সুবিধা পাবেন বেশি। তারপরও মিরাজের অন্তর্ভুক্তিতে ৩ স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। এ মাঠে অবশ্য এর আগে যে ৩টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, হারের সংখ্যা শতভাগ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ