জন্ম থেকে দু’হাত নেই। তারপরও লেখাপড়া থেমে নেই শিশু শিক্ষার্থী বেল্লালের। পা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার শিক্ষা জীবন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের উমিদপুর গ্রামের কৃষক মো.খলিলুর রহমানের পুত্র বেল্লাল। ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ বছর সে পৌর শহরের ইসমাইল হোসেন তালুকদার টেকনিক্যাল কলেজের হল রুমে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
প্রতিবন্ধী বেল্লালের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জন্মগতভাবে তার দুটি হাত নেই। পা দুুুটোও স্বাভাবিক নয়। বেল্লালের জন্মের পর গ্রামের লোকদের তাচ্ছিল্যের কারণে মা হোসনেআরা বেগম ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার শপথ নেন। তার পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে চক দিয়ে শ্লেটে লেখানোর অভ্যাস করান। এভাবেই বেল্লাল পা দিয়ে লেখা আয়ত্ব করে ফেলে। এরপর বেল্লাল হোসেনকে ভর্তি করা হয় একই গ্রামে উমিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শুরু হয় তার শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হওয়ার জীবন সংগ্রাম।
বেল্লালের দরিদ্র পিতা মো.খলিলুর রহমান জানান, দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বেল্লাল ছোট। আল্লাহ ওকে এভাবে পাঠিয়েছে এতে তার কোন দুঃখ নাই। শত কষ্ট হলেও তাকে শিক্ষিত করতে চায় বলে তিনি জানান।
উমিদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, বেল্লাল বেশির ভাগ সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকে। অসুস্থতার কারণে মাদ্রাসায় তেমন আসতে পারে না। তারপরও মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ৭৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তার রোল নং ৬। আশা করি এবছর জেডিসি পরিক্ষায় ভাল রেজাল্ট করবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা