ঠাকুরগাঁওয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে পৌর নির্বাচন স্থগিত ৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলে রাব্বী বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে হামলা চালিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে নেন। তারা কেন্দ্রের ব্যালট পেপারও ছিনিয়ে নিয়ে যান। হামলাকারীরা বেসরকারি টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। একই ওয়ার্ডের গোবিন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একদল যুবক হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করেন ও ৬০০ ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি মহিলা কলেজ পুরুষ ভোট কেন্দ্রে ভোটের হারের সঙ্গে অবশিষ্ট ব্যালটের পরিমাণের গরমিল পাওয়া যায়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে ভোটকেন্দ্রে হামলা, ব্যালট বাক্স ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও অবৈধভাবে সিল মারার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, গোবিন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি মহিলা কলেজ (পুরুষ) কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল স্থগিত করা হয়।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনে ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমীন ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী তহমিনা আখতার মোল্লা পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৫১ ভোট। আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম সোলায়মান আলী সরকার ৪ হাজার ১১৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। মেয়র ছাড়াও এ তিন কেন্দ্রে সাধারণ কাউন্সিলর দুই ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর দুইজন নির্বাচিত হবেন।
এ তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৩৭৫। পৌর মেয়র প্রার্থীরা হলেন বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমীন ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী তহমিনা আখতার মোল্লা। বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমীন ৪ হাজার ৬৭৮ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তহমিনা আক্তার মোল্লার থেকে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা