দেশের সর্ব উত্তরের স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় অচিরেই চালু হবে ইমিগ্রেশন সার্ভিস। ইতোমধ্যে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ইমিগ্রেশন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পঞ্চগড়কে পর্যটন এলাকা করার জন্য শিগগির্রি মহাপরিক্ল্পনা হাতে নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত, নেপাল, ভূটান ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪ দেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে বাংলাদেশের পর্যটন অর্থনীতি সম্প্রসারিত হবে।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে পর্যটনের মহা সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে যাচাই করার জন্যই আমি এসেছি। এই এলাকাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পর্যটন উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে পঞ্চগড় জেলা শহরে জমি নেয়া হয়েছে, বাংলাবান্ধাতে ৫ একর জমি নেয়া হয়েছে। তেঁতুলিয়ার পুরাতন বাজারে জমি নেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী মাসেই কাজ শুরু করতে পারব।
এখানকার চা বাগান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস, মহারাজার দিঘী, ভিতরগড় দুর্গনগরীসহ অনেক কিছু রয়েছে যা পর্যটনের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে। তাই পঞ্চগড়কে পর্যটনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়ের প্রশস্থ রাস্তা যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত ভাল। কিন্তু রাস্তার দুই পাশে পাথর ক্র্যাশিং মেশিন এলাকার পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। পর্যটনের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এলাকাবাসীকে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজেনে আলাদা পাথর ক্র্যাশিং জোন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ নাজমুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যন রেজাউল করিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব