নোয়াখালী সরকারি কলেজ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তবিবুর রহমানের অনিয়ম, দুর্নীতি, নম্বার জালিয়াতি ও চতুর্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষার ইনকোর্স পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার্থীদেরকে কম নম্বার দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বিভাগে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। সেইসঙ্গে তারা বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এবং তাকে লাঞ্ছিত করে তার শাস্তি ও বদলি দাবি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে। এ নিয়ে কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, নোয়াখালী সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ১০৭ জন শিক্ষার্থী সম্মান সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার্থীদের কলেজে ২০ নম্বারের ইনকোর্স পরীক্ষায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী অধ্যাপক তবিবুর রহমান স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ও নম্বার জালিয়াতি করে ২০ নম্বারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮-৯ নম্বার দেন। এতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণি পায়নি এবং ২৬ জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয় হনে অভিযোগ। এ নিয়ে শিক্ষক তবিবুর রহমানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একাধিকবার বাকবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে তবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'বিভাগের শিক্ষক জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা এ হামলা ও ভাংচুর করেছে এবং তাকে লাঞ্ছিত করে রুমে তালা লাগিয়ে বের করে দেয়।
নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আল হেলাল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সত্য। শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে কলেজের কম্পিউটার ব্যবহার না করে, ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে জালিয়াতি করে ছাত্রদেরকে নম্বার কম দিয়েছেন । এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে সঠিক রিপোর্ট দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ