বাগেরহাটের মংলায় 'একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পে' অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও কিস্তির টাকা উঠিয়ে ব্যাংকে জমা না করে অফিস হিসাবে দেখানো হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা সমন্বয়কারীকে সতর্কীকরণ নোটিশ প্রদান করেছেন।
মংলা উপজেলা একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ‘একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পে’র মাঠ সহকারী মাসুদ শেখ সমিতির সঞ্চয় ও কিস্তি ব্যাংকে জমা না করে পাশ বই, সঞ্চয় ও কর্জের খতিয়ানসহ তিন লাখ ৪৭ হাজার ছয়শ ১৭ টাকা অফিসের অনলাইন হিসাবে পোস্টিং দিয়েছেন। যার ফলে অন্যান্য সমিতির অনলাইন কার্যত্রুম ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী অর্চনা গুপ্ত সুন্দরবন ইউনিয়নের ছয় লাখ ৫৮ হাজার সাতশ ৭৪ টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে অফিস হিসাবে জমা দেখিয়েছেন। ফলে আর্থিক লেনদেনে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সর্বশেষ সব অর্থ সমন্বয়ের পর ৭৩ হাজার টাকার হিসাবের অনিয়ম ধরা পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা সমন্বয়কারী কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করেননি। তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এ সকল অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলব না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ আলী প্রিন্স বলেন, মাসিক সভায় উপজেলার ‘একটি বাড়ী একটি খামার’ প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ উঠলে বিষয়টি আমি উপজেলা সমন্বয়কারীর সাথে আলোচনা করি। সেখানে এ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। সমন্বয়কারীর সঠিক তত্তাবধানের অভাবে টাকা আদায় ও পোষ্টিং-এর বেশ কিছু তারতম্যের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। সর্বশেষ ৭৩ হাজার টাকার অনিয়মের ৪০ হাজার টাকা আদায় হযেছে। বাকী টাকাও দ্রুত আদায়ের জন্যে বলা হয়েছে। আমি সমন্বয়কারীকে সতর্কীকরণ নোটিশে জানিয়ে দিয়েছি ভবিষ্যতে এ রকম অনিয়ম হলে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ এপ্রিল, ২০১৬/হিমেল