বাগেরহাটের শরণ খোলায় বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গন রোধ করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জমির মালিকদের টাকা দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দুই ঘণ্টাব্যাপী বলেশ্বর নদী তীরবর্তী সাউথ খালীর গাবতলায় বেড়িবাঁধ পয়েন্টে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানবপ্রাচীর গড়ে তোলে ‘নদী শাসন বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটি’। এ মানবপ্রাচীরে শরণখোলার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আন্দোলন কমিটির আহবায়ক ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, আজকের টেকসই বেড়িবাঁধ শরণ খোলাবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর থেকে এলাকার মানুষ সরকারের কাছে টেকসই বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এবছর টেকসই বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হয়। কিন্তু নদী শাসন না করেই সেই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ শরণ খোলাবাসীর সঙ্গে প্রতারণার শামিল। বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ না দিয়েই চীনের ‘এইচসিডব্লিউই’ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে। অন্যদিকে নদী শাসন না করায় কাজ চলার মধ্যেই বাঁধের বিশাল বিশাল এলাকা ধসে নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে। এতে এলাবাসীর মধ্যে হতাশা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এখন এলাকাবাসীর একটাই দাবি তারা ত্রাণ নয়, ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে এবং ভাঙন প্রবন এলাকায় ব্লক ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে নদী শাসন করে বাঁধ নির্মাণ করা হোক। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মুখে বঁধ নির্মান কাজ প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক আকন আলমগীর, মুক্তিযোদ্ধা আ. রউফ মল্লিক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিনা আক্তার সাগর, যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন নান্টু, প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম, ফরিদ খান মিন্টু, মাষ্টার শহিদুল ইসলাম খান, ইমরান হোসেন রাজিব, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, আ. হালিম শাহ, রিয়াদুল পঞ্চায়েত প্রমূখ।