লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ভবন ও বেঞ্চের অভাবে এমপিওভুক্ত চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরম ব্যাহত হচ্ছে। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা। বিদ্যালয় ৪টির সমস্যাগুলো সমাধান করা হলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে বলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা মনে করছেন।
জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো হল, উপজেলার হায়দরগঞ্জের রোকেয়া হাসমতেন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চর আবাবিল এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়, জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কেরোয়া মানছুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনকল্যান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিগত এক যুগেও কোন উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় ভবন ও অফিসসহ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এদিকে চর আবাবিল এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ষাকালে টিনের চাল দিয়ে পানি গড়ায় ও গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড তাপদাহে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের বসতে হয় বিধায় পাঠদানে চরম বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া হায়দরগঞ্জ রোকেয়া হাসমতেন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি নারী শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মোজহারুল হক হাওলাদার প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৭৪৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিদ্যালয়টিতে অফিস কক্ষসহ ৭টি শ্রেণীকক্ষের মধ্যে ৩টির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মূহুর্তে দেয়াল অথবা ছাদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ভবন সংকটে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, ওয়াশরুম, রিডিংরুম, বিজ্ঞানাগারের সরঞ্জাম, কারিগরি শিক্ষার উপকরণ, মানসম্মত ক্যান্টিন ও ইবাদত করার স্থান না থাকায় শিক্ষার্থীদের চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। একইভাবে কেরোয়া মানছুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টিও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।
হায়দরগঞ্জ রোকেয়া হাসমতেন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানে ভবন, অফিসকক্ষ ও পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে দাঁড়িয়ে পাঠদান করাতে হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়গুলোর ভবন ও শেণীকক্ষগুলোর আসবাবপত্রে প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা আবেদন করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে তাদের আবেদনের সত্যতা পাওয়া গেছে। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল