লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে নাব্যতা সংকট, ফেরির স্বল্পতা ও ঘাটের পল্টুনের র্যামসহ নানা সমস্যায় যানবাহন পারাপার ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয় মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত আটকা পড়ে থাকে শত শত যানবাহন। এতে ওই রুটে চলাচলকৃত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা পড়েন বিপাকে। এসব সমস্যার কথা অকপটে স্বীকার করে সমাধানে কাজ চলছে বলে জানালেন বিআইডব্লিউটিসি’র স্থানীয় কর্মকর্তা। আর আশারবানী শোনালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু নোমান।
জানা যায়, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্রগ্রামের সাথে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২২ টি জেলার সহজ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে চালু করা হয় লক্ষ্মীপুর-ভোলা মজু চৌধুরী হাট ফেরি সার্ভিস। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে কস্তুরী, কামেনী ও কিশোরী নামের ৩ টি ফেরি দিয়ে দীর্ঘ ২৮ কিলোমিটার নৌ পথের যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করে বিআইডব্লিউটিসি।
বর্তমানে কৃষানী ও কনক চাপা নামের দুটি ফেরি দিয়ে ঢিমে তালে চলছে কার্যক্রম। কখনো কখনো যান্ত্রিক ত্রুটিতে ফেরি কিকল হয়ে ভোগান্তি বাড়ে বহু গুণ। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, অনিয়মতান্ত্রিক সার্ভিস ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মজু চৌধুরীর হাট ফেরি ঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত শত শত যানবাহন আটকা পড়ে থাকে। যথা সময়ে যানবাহন পারাপার না হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন তারা। চাহিদা অনুযায়ী ফেরি না থাকায় দিনের পর দিন তাদের অপেক্ষমান থাকতে হয় বলেও জানান পরিবহন শ্রমিকরা। আর সাধারণ যাত্রীরা এই ঘাটে ৩/৪ দিন ধরে আটকা পড়ে থাকা খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েন বলে জানান।
এদিকে মেঘনার মোহনা লক্ষ্মীপুর এরিয়ায় ফেরি চলাচলের রান্তায় পলি জমে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ফেরি চলাচলে বিঘ্নতা ঘটছে বলে জানান কনক চাপা ফেরি সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার আব্দুস সালাম।
অন্যদিকে নদীর জোয়ার -ভাটার কারণে রাস্তা ও ঘাটের পল্টুন অসমতল হয়ে পড়া,পল্টুনের র্যাম ভেঙ্গে যাওয়ার পর ছোট র্যাম স্থাপন করায় যানবাহনগুলো অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠা নামা করছে। দুর্ভোগ কমাতে ওই রুটে অন্তত ৪টি ফেরি সার্ভিস চালু করতে সরকারের কাছে দাবি জানান শ্রমিকরা।
এব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র টার্মিনাল সুপার ভাইজার নুরুর রহমান এসব সমস্যার কথা অকপটে স্বীকার করে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে সমাধান হওয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু নোমান ফেরি ঘাটের সমস্যা ও জন দুর্ভোগের এ বিষয়ে নিজের বিবেকও নাড়া দেয় জানিয়ে, অচিরেই প্রধানমন্ত্রী ও নৌ পরিবহন মন্ত্রীর সাথে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/৭ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল