ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। কিন্তু সেই খুশির ঈদ অনেকটা দুঃস্বপ্ন হয়ে দাড়িয়েছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নামমাত্র বোনাস পেলেও মূল বেতন-বোনাস না পাওয়ায় ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। দিনের পর দিন বেতনভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসকল শিক্ষকরা।
উপজেলার এসব শিক্ষকদের প্রতিবাদ কিংবা আর্তনাদ-কোনটাই শোনার যেন কেউ নেই। এত স্মারকলিপি, মানববন্ধন, সভা, সমাবেশ, কিছুতেই কোন কাজ হচ্ছে না। নন-এমপিও অনেক শিক্ষক বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেন। দিনের পর দিন পাঠদান করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিচ্ছেন, সেই শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি চাকরি কিংবা ব্যবসা করে আয় রোজগার করছেন কিন্তু শিক্ষকরা বিনা বেতনে রয়েছেন এখনো।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫ শত টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং বেতনের ২৫% মাত্র ঈদে বোনাস পেয়ে থাকেন। তারা ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখি ভাতার জন্য শত আন্দোলন করেন। কিন্তু এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন নিরব।
কলারোয়ার পুটুনি দারুল উলুম মাদ্রাসা সুপার মমিনুর রহমান জানান, রমজানের শেষে ঈদুল ফিতরের শুভাগমন। মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় এই উৎসবের দিনটি নিরানন্দে কাটে এখানকার বেসরকারি শিক্ষকদের। আনন্দের জায়গায় থাকে দীর্ঘশ্বাস। আর আছে পরিজনের মুখে হাঁসি ফুটাতে না পারার কষ্ট।
কলারোয়া মহিলা মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, বিনা বেতনে কিংবা বেতনভুক্ত হয়েও যত সামান্য বোনাসে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর তাই আনন্দের ঈদে মানসিক নিরানন্দে এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
বিডি প্রতিদিন/২০ জুন ২০১৭/হিমেল