বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খানের তৎপরতায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় বর রাকিবুল হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার মহারম আলীর ছেলে রাকিবুল হাসানের (২০) সঙ্গে স্থানীয় এক স্কুলছাত্রীর (১২) বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও আশিক খান তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে কনে ও বরপক্ষকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, শিশুদের জীবন নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি ও জনসচেতনতা কার্যক্রম চলছে। শিশুটির পড়ালেখা যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের এমন কঠোর অবস্থানের ফলে শিশুটি নতুন করে স্কুলে ফিরে স্বপ্ন দেখতে পারবে। ভবিষ্যতে এমন সামাজিক অপরাধ রোধে এই অভিযান দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই