মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড চুরির অপবাদে আসাদুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে আসামি করে অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে নিহত আসাদুলের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে সম্রাট মজুমদার ও চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পলাশ মন্ডলসহ ৭ জনের নামে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ৩০ মে রাত ৯ টায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ‘মানব কল্যান যুব সংঘে’র কয়েকজন নেতা তার উপর চরম নির্যাতন চালায়। ওই দিন রাত ১২ টায় তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে ২ জুন আসাদুল বাড়িতে ফিরে আসে এবং ১৪ জুন সকালে আসাদুল মারা যায়।
চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, নিহত ভ্যান চালক আসাদুলের উপর নির্মম নির্যাতন হয়েছে। এটা সঠিক। কিন্তু মামলায় চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পলাশ মন্ডলকে স্থানীয় ভিলেজ পলিটিক্সের কারণে আসামি করা হয়েছে।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, খাসেরহাট বাজারের ডেকারেশন ব্যবসায়ী মৃনালের মেমোরি কার্ড চুরিযাওয়াকে কেদ্র করে গত ৩০ মে স্থানীয় যুবকেরা আসাদুলকে মারপিট করে। সে উপজেলার চরবানিয়ারী গ্রামের মতিয়ার রহমার হাওলাদারের একমাত্র সন্তান। হাসপাতাল থেকে ২ জুন চিকিৎসক তাকে ছাড়পত্র দেন। পুনরায় তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকালে বাড়ি থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।