কুমিল্লা সদর উপজেলায় মহিমা আক্তার মাহিমা (১১) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয় মো. ইউছুফ নামের এক যুবক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মহিমা আক্তার মাহিমা উপজেলার ডুমরিয়া চাঁনপুর এলাকার মহিউদ্দিনের মেয়ে। ধর্ষক ও হত্যায় অভিযুক্ত মো. ইউছুফ (২৫) পার্শ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলা দয়াপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন যাবত চাঁনপুরে সপরিবারে বাসা ভাড়া থাকেন।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার মহিমা আক্তার মাহিমাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার সন্ধানে মাইকিং করা হয়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে হত্যাকারী ইউছুফ নগরীর পুরাতন গোমতী নদীতে কি যেন ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে এবং মারধর করলে সে মাহিমাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে।
মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মো. ইউছুফকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুন, ২০১৭/ফারজানা