শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্তকে 'হঠকারী' আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নীলফামারীর বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা। অবিলম্বে অবসর ও কল্যাণ খাত থেকে অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন কর্মসূচিরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
শুক্রবার দুপুরে নীলফামারী শহরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এসময় তারা ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সম্মিলিত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক কর্মচারী নীলফামারী জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সারোয়ার মানিক।
এ সময় সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব বাবু খোকারাম রায়, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুধীর রায়, সদর উপজেলা সভাপতি উত্তম কুমার রায়, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সদর উপজেলা সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মুনাল কান্তি রায় বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আমরা দুই যুগ ধরে কল্যাণ খাতে মূল বেতনের শতকরা দুই টাকা এবং অবসর খাতে শতকরা চার টাকা হারে চাঁদা দিয়ে আসছি। তারপরও অবসর গ্রহণের পর কল্যাণ খাতে ২৫ মাসের এবং অবসর খাতে ৭৫ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে মর্মে বিধিমালা করা হয়েছে যা আজো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় শিক্ষকদের মতামত না দিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় অবসর ও কল্যাণ খাত থেকে অতিরিক্ত আরও শতকরা চার টাকা হারে কর্তন করার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমরা এটা মানি না।
সম্মেলনে ভাতা কর্তনের নতুন সিদ্ধান্ত বাতিলসহ মূল বেতনের শতকরা পাঁচ টাকা হারে ইনক্রিমেন্ট, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, সরকারিদের সমপরিমান বৈশাখী ভাতা, সম্মানজনক হারে বাড়ি ভাড়া এবং সরকারীদের সমপরিমাণ চিকিৎসা ভাতা প্রদানের দাবি বাস্তবায়নে আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের আহবায়ক অধ্যক্ষ সারোয়ার মানিক অভিযোগ করেন, অবসর ও কল্যাণ বোর্ড দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। যার কারণে শিক্ষক কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষায় তারা ব্যর্থ হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুন, ২০১৭/ফারজানা