পূর্ব বিরোধের জেরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার-কাজীপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে থেমে থেমে মধ্য রাত পযর্ন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, রামশার-কাজীপুর গ্রামের মৃত জেহের আলীর ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শাহ (৫৫) ও তার ভাই যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহিন শাহ (৩৪) এবং মৃত আব্বাস আলী শাহ’র ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাজাহান আলী শাহ (৩৬)।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, একটি পারিবারিক বিষয় নিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এসএম ফিরোজ ও তার ভাতিজা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, মারপিট ও মামলা মোকদ্দমা লেগেইে থাকতো। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রামশার-কাজীপুর বাজারে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটা-কাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসাদ সমর্থকরা ফিরোজ সমর্থক শাজাহান আলী শাহকে বেদম মারপিট করে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় সাহাবুদ্দিন শাহ, শাজাহান আলী শাহ ও ডাঃ শাহিন শাহ আহত হন এবং একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। ফিরোজ সমর্থকরা হামলার চেষ্টা করলে আসাদ সমর্থকরা বাড়ির ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসময় এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফটিক শাহসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুন ২০১৭/হিমেল