লামা উপজেলার পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়ার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের পাইন্যাসা বিল এলাকায় জমির বিরোধের জের ধরে ৫ শতাধিক ফলজ, বনজ গাছ ও সবজি বাগান কেটে দিল প্রতিপক্ষ।
শুক্রবার দুপুর ২টায় ইউনিয়নের হনুমান পাড়ার মৃত আব্দু রহমানের ছেলে মোঃ এমরানের বসতবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ এমরান (৩৫) বলেন, "আমরা জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। বাড়িতে নারী সদস্য ছাড়া আর কেউ ছিলনা। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী পাড়ার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে সোলতান আহমদের নির্দেশে তার ভাই কবির আহমদ, রফিক আহমদ, মকসুদ আহমদ, মোবারক আহমদ, পল্লী চিকিৎসক নুর আহমদ সহ সাইফুদ্দিন প্রকাশ সাইমন, ফরিদ আহমদ, মোঃ জাকারিয়া, সেনা সদস্য বেলাল উদ্দিন, ইয়াবা মামলার আসামী মোঃ সাখাওয়াত দা, ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে বসত বাড়িতে হামলা চালায়।"
তিনি আরও বলেন, "এ সময় তারা বাড়ির আঙিনায় সৃজিত ২শত কলাগাছ, ১৭০টি সুপারি, ২২টি সেগুন সহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ ও সবজি বাগান কেটে ফেলে। এতে করে আমার ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।"
এমরানের বড় ভাই ও সাবেক মেম্বার মোঃ আলী বলেন, "ঘটনাস্থলের পাশের সমতল জায়গাটি আমার বাবা মৃত আব্দু রহমান ১৮নং খতিয়ান মূলে মালিক। জায়গাটি চাষাবাদ করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে আছি আমরা। হামলাকারীরা গাছ কাটার পর ঘরের নারীদের উপর হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা করে। নারীরা ঘরে দরজা বদ্ধ করে রাখায় রক্ষা পায়।"
বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রমিজ বলেন, "জুমার নামাজ পড়ে আমি এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। জেলা পরিষদ সদস্য সোলতান আহমদ আমাকে ডেকে বলে, গাছগুলো আমরা কাটছি। এই জায়গা আমাদের। তবে শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়িতে হামলা বা গাছ কাটা উচিৎ হয়নি।"
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে সোলতান আহমদ বলেন, "এই জায়গা নিয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসার কথা ছিল। আব্দুর রহমানের ছেলেরা জমিতে হাল চাষ করায় পাশের গাছ গুলো আমরা কেটে দিয়েছি। এই জায়গা আমাদের।"
বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব বলেন, "আশপাশের লোকজন গাছ কাটার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। তবে উভয় পক্ষের মাঝে জায়গার বিরোধ রয়েছে। চকরিয়া থানায় মামলা আছে।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৭