উন্নয়ন কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার অনেক হয়েছে। কিন্তু এবার রাস্তার পাশে সিসি ঢালাইয়ের কাজে বালির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ের মাটি! সরজমিনে লামার গজালিয়া ইউনিয়নে বাইশপাড়ি হতে চিন্তাবর পাড়ার রাস্তার নির্মাণ কাজে গিয়ে এই অনিয়মের চিত্র দেখা গেল।
উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে বাইশপাড়ি হতে চিন্তাবর পাড়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এই প্রকল্পটি। গত ৩০ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি এই উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। কাজটি বাস্তবায়ন করছে বান্দরবানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অমল কান্তি দাশ ট্রেডার্স।
স্থানীয়রা জানায়, রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। নিম্নমানের ইট, খোঁয়া, বেনাম্বারী কোম্পানির সিমেন্ট ও বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি দিয়ে যেনতেন ভাবে চলছে রাস্তার কাজ। তাছাড়া পরিকল্পনা মাপিক পাহাড় কাটা হচ্ছে না। দায়সারা ভাবে পাহাড় কাটার কারণে রাস্তার বাঁক ও উচ্চতা রয়ে যাচ্ছে পূর্বের মত। এতে করে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তার কাজে উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে দেখা যায় না বলেও পার্শ্ববর্তী লোকজন অভিযোগ করেন। শ্রমিক ও ঠিকাদারের পক্ষের লোকজন নিজের মত করে কাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে বাইশারী ও বটতলী এলাকার কয়েকজন জানায়, এইভাবে কাজ করলে এক মৌসুমও রাস্তাটি ব্যবহার করা যাবে না। নির্মাণের আগেই ভেঙে যাবে উন্নয়ন কাজটি।
সিসি ঢালাইয়ে সিমেন্টের সাথে বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি মিশানো বিষয়ে শ্রমিককে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, এখানে আশপাশে বালু নেই, তাই পাহাড়ের মাটি মেশানো হচ্ছে। পাহাড়ের মাটি বালু হিসেবে খারাপ না।
এই বিষয়ে জানতে ঠিকাদার অমল কান্তি দাশকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এই বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। সহকারী প্রকৌশলী প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন। দ্রুত বিষয়টি দেখছি এবং কাজের মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিব। বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার