ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নে এলাকার অধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বসত বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। শনিবার সন্ধ্যায় এবং রবিবার সকালে কয়েক দফা এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে সালথা বাজারে ভাওয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মাতুব্বরের সমর্থক ভাওয়াল গ্রামের জাহিদ মাতুব্বরের সাথে একই গ্রামের বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী মোফাজ্জেল মাতুব্বর ওরফে মোকা হাজীর সমর্থক এসকেন্দার মাতুব্বরের এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের ক্ষুদ্ধ সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ওহাব মাতুব্বরের পক্ষে পার্শ্ববর্তী সালথা, মদনদিয়া, খলিশাডুবি ও গৌড়দিয়ার ৫ শতাধিক লোক অংশ নেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে ওহাব মাতুব্বরের সমর্থক মালেক মাতুব্বর ও মোকা হাজীর সমর্থক ইসমাইল মাতুব্বরের বসতবাড়ীতে হামলা করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সালথা থানা পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ সকালে সালথা বাজার উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২ জুলাই ২০১৭/হিমেল