ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুই জন হলেন রোকন মিয়া (৪৫) ও ইউছুফ মিয়া (২৮)। রোকন আন্তঃজেলা সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ। অপরদিকে ইউসুফকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে কসবা থানা পুলিশ
শুক্রবার দিবাগত রাতে সরাইল ও কসবায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত রোকন জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে। ইউসুফ কুটি ইউনিয়নের মাইজখাঁর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কসবা থানা পুলিশের একটি দল মাদক ব্যবসায়ী ইউছুফের আস্তানায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী ইউছুফসহ তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর এলোপাথাড়ি হামলা করে। পরে পুলিশও পাল্টা হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউছুফ নিহত হন। এ সময় কসবা থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতরা হলেন উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন, কনস্টেবল ইব্রাহীম এবং নজরুল ইসলাম। পরে আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১৩৫ কেজি গাঁজা, একটি পাইপ গান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে সরাইল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা জানান, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাবাদ এলাকায় অভিযানে যায় সরাইল থানা পুলিশের একটি দল। এসময় রোকন ও তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে থাকে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে রোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জুলাই, ২০১৭/ তাফসীর