যশোরের ঘোপ নোয়াপাড়া রোড জামে মসজিদের পেছনে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি দোতলা বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রবিবার রাত ২টা থেকে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে। বাড়িটির মালিক যশোর জেলা স্কুলের শিক্ষক হায়দার আলি। যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাড়ির মালিক হায়দার আলি জানান, তার বাড়িতে দু'টি পরিবার ভাড়া থাকে। তিনি পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। রবিবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে তিনি তার আত্বীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে তার বাড়িটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের সাথে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে করে তার বাড়ির পশ্চিম পাশের ভাড়াটিয়া মশিউর রহমান ও তার পরিবারকে সন্দেহ করছে পুলিশ। মশিউর রহমান তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে সেখানে ভাড়া থাকতেন। তিনি একটি হার্বাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি একএেম আজমল হুদা বলেন, জঙ্গি আছে ঢাকা থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর বাড়টিি ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউন্টার টরেরিজম ইউনিট ও সোয়াটের একটি দল সকালে যশোর পৌছছে। তারা অভযিানে অংশ নিবে। বাড়িটিতিে গুলশানের হলি র্আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সঙ্গে জড়িত এবং পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজানরে বোন থাকতে পারনে বলে একটি গোয়ন্দো সূত্র জানিয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর রহমান (ক সার্কেল) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৫টার দিকে এএসপি মাহবুবের নেতৃত্বে সোয়াটের একটি টিম যশোরে এসে পৌঁছেছে। টিমটি ইতোমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শনও করেছে। যেকোনো সময় অভিযান শুরু হতে পারে।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান-পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, ঢাকার ৫-৬টি সংস্থা এই অভিযানে অংশ নেবে। তিনি নিজে অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন। পুলিশ প্রথমে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাবে। তারা এতে সম্মত না হলে ঘেরাও করা বাড়িটিতে জঙ্গি আটকের অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যেই জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটির অন্যান্য বাসিনাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৯ অক্টোবর, ২০১৭/ তাফসীর